রমজান আমাদের জীবনের এমন এক সময়, যা হৃদয়কে নরম করে দেয়। দিনের রোজা,
রাতে তারাবীহ, তিলাওয়াত, দোয়ার মাঝে মন ধীরে ধীরে পরিশুদ্ধ হতে থাকে।
এই বরকতময় মাসে যদি কেউ আল্লাহর ঘরে গিয়ে ওমরাহ আদায় করে, তবে সে পায়
বিশেষ মর্যাদা। কারণ রমজানে ওমরাহ করার ফজিলত অত্যন্ত বড়। রমজানে
ওমরাহর বিশেষ মর্যাদা এসেছে সরাসরি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর ভাষায়। তাই এই
মাসে সৌদি আরবগামী হাজারো মুসলিমদের প্রথম লক্ষ্য থাকে—হারামাইন শরীফেই
ইবাদতের মাধ্যমে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা।
মক্কা ও মদিনার পরিবেশ তখন ইবাদতের জন্য আরও উপযোগী থাকে। তাই সারা
পৃথিবীর মুসলমানেরা এ মাসে ওমরাহ আদায়কে শ্রেষ্ঠ আমল হিসেবে গ্রহণ
করেন।
রমজান এমন এক বরকতময় সময়, যখন ইবাদতের সওয়াব কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই মাসে
ওমরাহ আদায়ের গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে হাদিসে।
নবী করিম (সাঃ) তাঁর বাণীতে রমজানের ওমরাহকে যে বিশেষ স্থানে তুলে
ধরেছেন, তা মুমিনের জন্য এক অনন্য প্রেরণা।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“রমজানে করা ওমরাহ আমার সাথে হজ করার সমান।” (সহিহ বুখারি, ১৭৮২)
এখানে স্পষ্ট বোঝা যায়, রমজানে
ওমরাহ আদায় করলে সওয়াব এতটাই বৃদ্ধি পায় যে তা
নবী কারিম (সাঃ)-এর সঙ্গে হজ করার মর্যাদার সমান হয়।
অবশ্যই এটি ফরজ হজের বিকল্প নয়। তবে সওয়াব ও ফজিলতে এটি একটি অনন্য
কাজ, যা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের দরজা খুলে দেয়।
রমজান মাসে ওমরাহ করার বিশেষ ফজিলতসমূহ
রমজান এমন এক বরকতময় সময়, যখন আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাতের দরজা আরও বেশি
উন্মুক্ত থাকে। এই সময়ে ওমরাহ করলে এর সওয়াব বহু গুণে বৃদ্ধি পায় এবং
আত্মার ভেতরে এক গভীর প্রশান্তি নেমে আসে।
রমজানের পবিত্র পরিবেশ ওমরাহকে আরও অর্থবহ ও উপকারী করে তোলে। নিচে রমজানে ওমরাহ করার বিশেষ কিছু ফজিলত উল্লেখ করা হলো:
১. অবর্ণনীয় সওয়াবের দরজা খুলে যায়
রমজান যেহেতু রহমত ও মাগফিরাতের মাস, তাই এই মাসে করা প্রতিটি নেক আমল
বহুগুণে বাড়ে। ওমরাহ একটি বড় ইবাদত, ফলে এর সওয়াবও অগণিত বৃদ্ধি পায়।
২. গুনাহ মাফের সুবর্ণ সুযোগ
ওমরাহ মানুষের ছোট ছোট গুনাহ মাফ করার অন্যতম মাধ্যম। আর রমজানে আল্লাহ
তায়ালা বান্দাদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখেন। ফলে একজন মুমিনের জন্য
পাপমুক্ত হওয়ার অনন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়।
৩. রুহানী প্রশান্তি ও ঈমানি শক্তি বৃদ্ধি
রমজানের পরিবেশ মক্কা-মদিনায় আরও গভীর। সহস্র মানুষের তিলাওয়াত,
তারাবীহ, দোয়া—এই সব মিলিয়ে মনে হয় যেন আধ্যাত্মিক জগত নিজ হাতে
আপনাকে জড়িয়ে ধরে আছে।
৪. লাইলাতুল কদর পাওয়ার সম্ভাবনা
রমজানের শেষ দশকে যদি কেউ ওমরাহ করতে মক্কায় থাকে, তাহলে কদরের রাত
ইবাদতে কাটানোর সম্ভাবনাও থাকে। এটি জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান রাত।
৫. তাকওয়া ও আত্মশুদ্ধির বাস্তব প্রশিক্ষণ
রমজান আমাদের নফসকে সংযত করতে শেখায়। আর ওমরাহ শেখায় ধৈর্য, নম্রতা ও
আল্লাহর সম্পূর্ণ আনুগত্য। এই দুইয়ের সমন্বয় ঈমানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে
যায়।
৬. দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
হাজরে আসওয়াদ, মুলতাজ্জাম, মিজাবে রাহমাহ কিংবা মসজিদে নববীর রাউজাহ—এই
সব জায়গা দোয়া কবুলের স্থান। রমজানের বরকত যুক্ত হলে দোয়া আরও
গ্রহণযোগ্য হয়।
রমজানে ওমরাহর সময় মক্কা-মদিনার পরিবেশ
রমজানে মক্কার বাতাসেও যেন ইবাদতের গন্ধ মিশে থাকে। মসজিদুল হারাম সকাল
থেকেই পূর্ণ। ইফতারের সময় লাখো মুসলমান একসঙ্গে বসে খেজুর আর সামান্য
খাবার দিয়ে রোজা ভাঙে—দৃশ্যটি হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আরো যেসকল দৃশ্য হৃদয়কে
করবে বিগলিত করবে, তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
মসজিদুল হারামে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের তিলাওয়াতের ধ্বনি
তারাবীহকে কেন্দ্র করে বিশাল জামাত
ইফতারের সময় হাজার মানুষের একসঙ্গে রোজা ভাঙার দৃশ্য
মসজিদে নববীতে দুরুদ, সালাম, কিয়ামুল লাইল
এক ধরনের শান্ত, আলোয় ভরা, আত্মার প্রশান্তিময় পরিবেশ
কেন রমজানের ওমরাহ হৃদয়কে বদলে দেয়?
রমজানের ওমরাহ মানুষকে ভেতর থেকে নরম করে ফেলে। এই সময়ে ইবাদত, তওবা
আর দোয়ার সাথে মক্কা–মদিনার শান্ত পরিবেশ মিলে হৃদয়ে এক নতুন আলো
জাগায়। অনেকেই বলেন, রমজানের ওমরাহর পর জীবনকে দেখতে চোখ বদলে যায়, মনও
আরও সহজে সঠিক পথে ফিরে আসে।
মানুষ নতুন করে নিজের সাথে পরিচিত হয়
তওবার দরজা আরও প্রসারিত থাকে
নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে
জীবনের ভুলত্রুটি স্পষ্ট বুঝতে সাহায্য করে
দুনিয়াবি চিন্তার ভিড় থেকে দূরে নিয়ে যায়
আল্লাহর কাছে ঘনিষ্ঠ হওয়ার অনুভূতি জন্মায়
রমজানে ওমরাহ করতে গেলে কিছু বিশেষ প্রস্তুতি
রমজানে ওমরাহ করতে গেলে সাধারণ প্রস্তুতির পাশাপাশি কিছু বাড়তি
ওমরাহ গাইড
মেনে চলা জরুরি। আবহাওয়া, ভিড় এবং ইবাদতের ব্যস্ততা—সব মিলিয়ে এই সময়ের
যাত্রা একটু ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেয়। তাই আগেই কিছু বিশেষ প্রস্তুতি নিলে
পুরো সফর আরও সহজ ও মনোযোগীভাবে সম্পন্ন করা যায়।
স্বাস্থ্যগত প্রস্তুতি:
রমজানে গরম থাকে। তাই পানি, বিশ্রাম, প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে নিয়ে
যাওয়া জরুরি।
ইবাদতের পরিকল্পনা:
তাওয়াফ, নামাজ, তিলাওয়াত, তারাবীহ—সব কিছু নিয়ম করে করলে রমজানের
প্রকৃত রুহানিয়াত পাওয়া যায়।
ভিড় সামলানোর মানসিকতা:
রমজানে ওমরাহর ভিড় থাকে অনেক বেশি। ধৈর্য, নম্রতা আর সহনশীলতার
মনোভাব জরুরি।
ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা:
ভালো মানের একটি ওমরাহ এজেন্সি বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেমন
হিজাজ হজ্জ উমরাহ লিমিটেড
বিশ্বস্ততার জায়গা বজায় রেখে সব ব্যবস্থাপনা করে থাকে।
আমাদের রমজান ওমরাহ প্যাকেজে যা থাকছে
রমজানে ওমরাহ করার ইচ্ছে থাকলে সঠিক ব্যবস্থাপনা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা এমন একটি প্যাকেজ সাজিয়েছি, যাতে ইবাদতের সময় আপনার কোনও ঝামেলা
না থাকে। ভিসা থেকে হোটেল, জিয়ারত থেকে সাপোর্ট–সবকিছুর ব্যবস্থা আমরা
নিশ্চিত করি নিশ্চিন্ত ভ্রমণের জন্য।
কেন রমজান ওমরাহর জন্য হিজাজ হজ্জ উমরাহ লিমিটেডকে নির্বাচন করবেন?
রমজানের ব্যস্ত মৌসুমে ওমরাহ যাত্রা যেন নির্ভার ও শান্তভাবে সম্পন্ন
হয়, সেজন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞ ও বিশ্বাসযোগ্য একটি সেবা প্রদানকারী।
হিজাজ হজ্জ উমরাহ লিমিটেড সেই প্রস্তুত সহায়তা ও
যত্ন নিয়ে কাজ করে, যা একজন যাত্রীর আধ্যাত্মিক ইবাদতকে আরও সহজ ও
সুন্দর করে তোলে। আর আমাদের রয়েছে:
অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্ব
সাশ্রয়ী প্যাকেজ
পরিবার ও গ্রুপের জন্য বিশেষ সহায়তা
যাত্রীর প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড প্যাকেজ
স্বচ্ছ মূল্য ও পরিষ্কার পরিকল্পনা
বেছে নিন আপনার পছন্দের রমাদান উমরাহ প্যাকেজ!
বেছে নিন আপনার পছন্দের রমাদান উমরাহ প্যাকেজ! রমজানের মতো বরকতময়
সময়ে মক্কা ও মদিনায় ইবাদত করা এক ভিন্ন শান্তি এনে দেয়। আপনার
বাজেট, সময় ও প্রয়োজন অনুযায়ী Hijaz Hajj Umrah Limited সাজিয়েছে
সেরা রমাদান উমরাহ প্যাকেজ, যাতে যাত্রা হয় আরামদায়ক ও নির্ভার।
রমজানে উমরাহ করার সর্বোচ্চ ফযিলত হলো—এটি সওয়াবের দিক থেকে
নবী করিম (সাঃ)-এর সঙ্গে হজ করার সমান মর্যাদা পায়। কারণ
রমজান নিজেই বরকত, রহমত ও মাগফিরাতের মাস, ফলে উমরাহর সওয়াব
বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
সহিহ বুখারিতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“রমজানে করা উমরাহ আমার সঙ্গে হজ করার সমান।”
এটি উমরাহর মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়, যদিও এটি ফরজ হজের বিকল্প
নয়।
জি হ্যাঁ, উমরাহ পাপ মোচনের মাধ্যম। আর রমজান গুনাহ মাফের
মাস হওয়ায় উমরাহ করলে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়। বহু
ছোটখাটো গুনাহ ক্ষমা হয়ে যেতে পারে।
রমজান এমনিতেই দোয়া কবুলের সময়। আর মসজিদুল হারাম ও মসজিদে
নববীর দোয়া কবুলের স্থানগুলোতে ইবাদত করলে দোয়া গ্রহণ হওয়ার
সম্ভাবনা আরও বেশি থাকে।
যদি আপনি রমজানের শেষ দশক মক্কায় উপস্থিত থাকেন, তাহলে কদরের
রাতে কাবার সামনে ইবাদত করার সুযোগ পেতে পারেন। এটি অমূল্য
নেকি।
আপনার উমরাহ প্যাকেজটি খুঁজে নিন।
অভিজ্ঞ গাইড ও শরিয়াহ পরামর্শকদের সঙ্গে এক্সক্লুসিভ মূল্যে উমরাহ
পালন করুন।
Plan your hajj journey with Hijaz Hajj Agency from Bangladesh. We've designed the most affordable, professional & service focused Hajj packages for the year 2027 from Bangladesh. Contact us today for pre-registration.
Find your nearby Hajj & Umrah agency associated with Hijaz Hajj Umrah Ltd. Bangladesh. Identify the trusted Umrah agents in your area and get in touch with them to facilitate your next holy journey to Makkah and Madina.